কর্মচারী ভবিষ্য নিধি তহবিলের ২২৮তম বৈঠক আজ জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ার এই  বৈঠকে পৌরহিত্য করেছেন। বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব শ্রী অপূর্ব চন্দ্র এবং পর্ষদের সদস্য, কর্মচারী  ভবিষ্য নিধি কমিশনার শ্রী সুনীল বার্থওয়াল উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় পর্ষদ কর্মচারী  ভবিষ্য নিধি সংগঠনের সদস্যদের জন্য ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৮.৫ শতাংশ বার্ষিক সুদের হার সুপারিশ করেছে। এই সুদের হার সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হবে। আর তারপর উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ পাঠানো হবে।

২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রীয় ভবিষ্য নিধি সংগঠন উপভোক্তাদের ৮.৫ শতাংশের কম সুদ কখনই দেয়নি। সুদের হার বেশি হওয়ার ফলে গ্রাহকরা উপকৃত হন। পর্ষদ তহবিলের অর্থ রক্ষণাত্মকভাবে বিনিয়োগ করে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। যেহেতু কেন্দ্রীয় ভবিষ্য নিধি তহবিলে দরিদ্র মানুষদের অবসরকালীন সময়ের সঞ্চয় জড়িত রয়েছে তাই ঝুঁকির বিষয়গুলিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। কেন্দ্রীয় ভবিষ্যনিধি সংগঠন তার সদস্যদের জন্য আরও বেশি আয় নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিনিয়োগের সময় বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় রাখে। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষ থেকে জাতীয় শেয়ার বাজার ও বম্বে শেয়ার বাজারে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ২০১৫ অর্থবর্ষে ইক্যুইটির বিনিয়োগ ৫ শতাংশ ছিল, পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ শতাংশ হয়েছে। ২০২১ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় ভবিষ্যনিধি সংগঠন মূলধন খাতেও বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে ঋণ সংক্রান্ত বিনিয়োগ এবং ইক্যুইটির বিনিয়োগ একত্রিত করে অনেক বেশি আয় হচ্ছে। যার ফলে ভবিষ্যতেও সদস্যরা আরও সুবিধা পাবেন। কেন্দ্রীয় পর্ষদ প্রতি বছর কর ছাড় সহ সদস্যদের জন্য আকর্ষণীয় রিটার্নের নিশ্চয়তা দেয়। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা সামাজিক নিরাপত্তা হিসেবে ভবিষ্যনিধি তহবিল, পেনশন ও বীমার মারফত আকর্ষণীয় রিটার্ন পেয়ে থাকেন।

  • Website Designing